বাংলা ব্লগ

মুশকিল হল যে আমি কোনোকিছুতেই ঠিক ভালো নই। তাই, ইংরেজি ভাষায় ছড়ানোর থেকে, মাতৃভাষায় ছড়ানোটা শ্রেয় বোধ করি - অন্তত, পড়ার পর, লোকের দেওয়া বাংলা গালাগালিগুলো  বুঝতে অসুবিধা হবে না! 
  • একফালি রোদ

    “আজকাল এত যে কি ভাবো তুমি, দাদা!! সেই কখন থেকে বইটা মুখের সামনে খুলে বসে আছো, পাতাটা পর্যন্ত উল্টোওনি।” দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বইটা ভাঁজ করে পাশের ছোট টেবিলটায় রাখলাম। আর পড়া হবে না এমনিতেও, ঝুমুর বকতে শুরু করলে ক্ষান্তি দেবে না। ঝুমুর আমার ঘরের বারান্দায় রাখা অনেকগুলো গাছের মধ্যে একটা ছোট বনসাই ঝাউ গাছ। বছর চারেক…

  • হয়ত কোনোদিন

    প্রস্তুতি আপনি যদি একটু চালাক-চতুর গোছের লোক হন, তাহলে লক্ষ্য করে থাকবেন, যে, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে, বেড়াতে যাওয়াটার থেকে, বেড়াতে যাব-যাব – এই আদেখলাপনা ভাবটা বেশী উত্তেজনাপূর্ব। অনেকটা, ওই চুমু-টুমু খাওয়ার আগের মূহুর্তগুলোর মত, যেটা আসল ব্যাপারটার থেকে সাধারণত বেশী ইয়ে হয় আরকি। এই, দেখেছেন তো, কোথা থেকে কোথায় চলে গেলাম!! এই হয়েছে…

  • রসিক-বেরসিক

    থ্রী ইডিয়েটস নিশ্চয় দেখেছেন? ওখানে র‍্যাঞ্চো একটা হেব্বি ডায়ালগ দিয়েছিলো – সেটার সারাংশ ছিল এই যে যখন লোকে প্রেমে পড়ে, তখন হাওয়া বইতে থাকে, দোপাট্টা উড়তে থাকে, পরিবেশটা ফিল্মি হতে থাকে। ব্যাপারটা মেলড্রামাটিক শুনতে লাগলেও কিন্তু তা নয়। বিশ্বাস হচ্ছে না? কোনোদিন হয়েনি বলছেন এরকম? তাহলে দুটো সম্ভাবনা আছে। ১। আপনি কোনোদিন প্রেম-টেম করেননি, সারাজীবন…

  • বিস্মৃত

    নামটা ঠিক মনে পড়ছে না এখন। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম, সোজা গলির শেষ প্রান্তে। পুরো গলিটা দেখা যেত দরজাটা খুলে সামনে বসে থাকলে। ছেলেটা দুপুরবেলা আসতো। এসে একটা হাঁক ছাড়তো – “ঠাকুমাআআআ”। আমার ঠাম্মা ঘরেই থাকতো, হয়েত বসে বই পড়তো, বা কখনও ঊর্দু শিখত নিজে নিজেই। আমাদের ডাকটা অভ্যেস হয়ে গেছিল। দরজা খুললে দেখা যেত সে…

  • শুঁটকিমাছ

    পশ্চিমবাংলার বাইরে, বিশেষত দক্ষিণে আর পশ্চিমে, বাঙালীদের নিয়ে একটু-আধটু খিল্লি যে হয়ে থাকে এটা সবার-ই জানা, যেমন আমরা ওদের নিয়ে করে থাকি আর কি। তা, “কুঁড়ে”, “ভাবুক-চন্দর”, “বাবু”, এই মধুর তকমাগুলো বাঙালীদের সম্বন্ধে শুনলে এঁড়ে তক্ক করা ছাড়া আর কিছু করার খুব একটা থাকে না। কিন্তু একটা ব্যাপার আছে, যেখানে এঁড়ে-বেঁড়ে যে তক্কোই হোক না কেন,…