সেন্টার টেবিলের উপর রাখা ফোনটার দিকে আরেকবার তাকালেন অমিয়বাবু।
বারান্দা থেকে সকালের হালকা আলো এসে পড়েছে ফোনটার উপর।
গত সপ্তাহ অবধি বলেছে নম্বরটা সুইচড অফ।
অমিয়বাবুর কলেজের বন্ধু, তমালের।
এর আগে শেষ এরকম হয়েছিল স্কুলের বন্ধু অসীমের ক্ষেত্রে, প্রায় মাসখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছিল!
আর ভাস্করের জন্যে, দিন দশেক। ভাস্করের ছেলে বাপের মতই নিয়মনিষ্ঠ, কাজ ফেলে রাখত না একদম।
ফোনটা হাতে তুলে নিলেন অমিয়বাবু।
ডায়াল করলেন আরেকবার, গত সপ্তাহে করা তমালের নম্বর।
…
অসীমের ক্যান্সার হয়েছিল, ছ’বছর আগে, লাস্ট স্টেজ। ভাস্করের অফিস ক্যাব, বম্বে রোডে ট্রাকের সাথে হেড-অন কলিশন করে, দু’বছর হল।
…
সেকেন্ড দশেক পরে হাসি ফুটে উঠল অমিয়বাবুর ঠোঁটের কোণে।
ফোনের থেকে শোনা যাচ্ছে – “এই নম্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই…”।
ফোনটা হাতে নিয়ে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখলেন চোখের সামনে। তারপর, কয়েকটা ট্যাপ করে মুছে দিলেন বন্ধুর নম্বর।
ফোনের স্ক্রীনে কালো অক্ষরে ফুটে উঠল কয়েকটা শব্দ – ” ইয়োর ফোনবুক ইজ নাউ এম্পটি”।
Leave a Reply to Sudipta Chakra Cancel reply