Category: স্মৃতিচারণ
-
সন্ধিক্ষণ
ঘুমটা কাঁচাই ভাঙলো নন্দীশের! চটকা ভাঙলে যা হয়, খানিক ঠাহর করার চেষ্টা করলো নন্দীশ, পারিপার্শ্বিক। ততক্ষণে চ্যাঁ চ্যাঁ করে আবার বেজে উঠেছে কলিং বেলটা। ওহ, টেনিদা সমগ্র পড়তে পড়তে কখন যে চোখ লেগে গেছিলো, বুঝতেই পারেনি নন্দীশ। বুকের উপর থেকে খাটে পড়ে যাওয়া বইটা পাশের টেবিলে সরিয়ে রেখে খাটের পাশের দিকে পা ঝুলিয়ে উঠে বসলো…
-
ঘুরপাক
দুপুরের নরম রোদটা পড়েছিল খাটটার উপর, বারান্দার খোলা দরজা দিয়ে। সেদিনও এরকমই ছিল না, দুপুরটা? চড়ুইগুলো খাবার খেয়ে গেছিল কিছুক্ষণ আগেই। বারান্দায় কিচিরমিচির গুলো বন্ধ হবার পরে তখন নিঃশব্দ চারিদিক। শুধু ঝিরঝিরে পাতার শব্দ ছিল, সুপুরি গাছটার। কঙ্কালসার শরীরটা বিছানায় মিশে গেছিল প্রায়। হালকা শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ ছিল একটা। . . . ঝিরঝিরে পাতাগুলোও থেমে গেছিল…
-
একফালি রোদ
“আজকাল এত যে কি ভাবো তুমি, দাদা!! সেই কখন থেকে বইটা মুখের সামনে খুলে বসে আছো, পাতাটা পর্যন্ত উল্টোওনি।” দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বইটা ভাঁজ করে পাশের ছোট টেবিলটায় রাখলাম। আর পড়া হবে না এমনিতেও, ঝুমুর বকতে শুরু করলে ক্ষান্তি দেবে না। ঝুমুর আমার ঘরের বারান্দায় রাখা অনেকগুলো গাছের মধ্যে একটা ছোট বনসাই ঝাউ গাছ। বছর চারেক…
-
বিস্মৃত
নামটা ঠিক মনে পড়ছে না এখন। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম, সোজা গলির শেষ প্রান্তে। পুরো গলিটা দেখা যেত দরজাটা খুলে সামনে বসে থাকলে। ছেলেটা দুপুরবেলা আসতো। এসে একটা হাঁক ছাড়তো – “ঠাকুমাআআআ”। আমার ঠাম্মা ঘরেই থাকতো, হয়েত বসে বই পড়তো, বা কখনও ঊর্দু শিখত নিজে নিজেই। আমাদের ডাকটা অভ্যেস হয়ে গেছিল। দরজা খুললে দেখা যেত সে…
-
শুঁটকিমাছ
পশ্চিমবাংলার বাইরে, বিশেষত দক্ষিণে আর পশ্চিমে, বাঙালীদের নিয়ে একটু-আধটু খিল্লি যে হয়ে থাকে এটা সবার-ই জানা, যেমন আমরা ওদের নিয়ে করে থাকি আর কি। তা, “কুঁড়ে”, “ভাবুক-চন্দর”, “বাবু”, এই মধুর তকমাগুলো বাঙালীদের সম্বন্ধে শুনলে এঁড়ে তক্ক করা ছাড়া আর কিছু করার খুব একটা থাকে না। কিন্তু একটা ব্যাপার আছে, যেখানে এঁড়ে-বেঁড়ে যে তক্কোই হোক না…