Category: বাংলা
-
ঘুরপাক
দুপুরের নরম রোদটা পড়েছিল খাটটার উপর, বারান্দার খোলা দরজা দিয়ে। সেদিনও এরকমই ছিল না, দুপুরটা? চড়ুইগুলো খাবার খেয়ে গেছিল কিছুক্ষণ আগেই। বারান্দায় কিচিরমিচির গুলো বন্ধ হবার পরে তখন নিঃশব্দ চারিদিক। শুধু ঝিরঝিরে পাতার শব্দ ছিল, সুপুরি গাছটার। কঙ্কালসার শরীরটা বিছানায় মিশে গেছিল প্রায়। হালকা শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দ ছিল একটা। . . . ঝিরঝিরে পাতাগুলোও থেমে গেছিল…
-
আকাশ, আর আটদিন
আকাশ দূরের পাহাড়ের দিকে তাকিয়েছিল, কিছুক্ষণ আগেই সূর্যটা ঢাকা পড়েছে নীলচে হয়ে আসা চুড়োটার পেছনে। ধোঁয়া ওঠা গরম কফির কাপে চুমুক দিল আকাশ। বাগানের উত্তর দিকের ঝাঁকড়া গাছটা থেকে ডেকে উঠল ছোট্ট হলুদ-সবুজ পাখিটা – “টুট টুট”। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল আকাশের। আর আটদিন বাকি। কাবার্ড থেকে বার করে রাখতে হবে আরেকটা কাপ। আর,…
-
নাচুনে
নাচতে আমি একদমই পারিনে। গাইতে পারিনে, বাজাতেও নয়, তবে শুনতে আমার মন্দ লাগেনা সেরকম। তাই, গানবাজ না হলেও, গানবাজনা টা আমার ভালোই লাগে। সেদিন, গাড়ী চালাচ্ছিলুম, রাস্তা দিয়ে, গড়গড়িয়ে। গাড়ীর ধর্মই গড়ানো, তাই আমি আপত্তি করিনিকো। কিন্তু, কানে কোনো গান না আসলে, আমার বড় আপত্তি হয়। আজকাল চাইলে গাড়ীতেই গান শোনা যায়। মজলিশী না হলেও, রাস্তাতে সময়টা…
-
বিরক্তিকর
– কি বিরক্তিকর দেখেছেন! – কোন ব্যাপারটা বলছেন বলুন তো? – আরে, এই যে আপনার চোখের সামনেই তো দেখছেন! – চোখের সামনে তো দেখছি “হিংসা কোরো না, তোমারও হবে” লেখা আছে কালো ধোঁয়া ছাড়া ট্রাকটার পেছনে! – আরে মোলো যা! আমি বলছি, ওই ওদের কথা! ওই যে দাড়িগুলো ঝুলছে, অদ্ভুতভাবে! – ও আচ্ছা! হ্যাঁ, এই…
-
পাগলছানা
ওই যে আছে ঘোর-প্যাঁচানি, মুখটা করে হাঁড়ি সাতসকালেই বলবে উঠে, আজকে শুধু আড়ি সারা দুপুর ফুলে আছে, ঘাড়ের কটি রোঁয়া কানের থেকে যাচ্ছে বয়ে গলগলিয়ে ধোঁয়া ঝটপটিয়ে ঝাপটে ডানা, আশপাশে তার আসতে মানা বিড়বিড়িয়ে বকছে কিসব, কাগের নয়ত বগের ছানা ভাবছ বুঝি আপনভোলা, মাথায় আছে অঢেল ছিট ভুল নয়কো, ঠিকই, তবে পেলেই তোমায় করবে টিট দেখতে ওরম ভোম্বলরাম,…